গল্প সংক্ষেপ: কমল, বিনয়, বিমল ও কুমার। বিমল আর কুমারকে তো তোমরা চেনই। সেই যে ‘যকের ধন’ এ তোমরা পড়েছিলে! যারা খাসিয়া পাহাড়ে গিয়েছিল যকের ধনের খোঁজে! হুমমম... তারা এবার আর একটি অভিযানের সঙ্গী হয়েছে।
হঠাৎ-ই বিলাশপুর গ্রামে কেমন সব অলৌকিক কাণ্ডকারখানা ঘটে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষগুলো দিনের পর দিন উধাও হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তাদের কোনও খোঁজ মিলছে না। এমনকি লাশ পর্যন্ত নয়। সেই দিনই বিলাশপুর গ্রামের প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো বটগাছের নিচে পূজা শেষ করে গ্রাম বাসীরা নিজ নিজ ঘরে ফিরেছে কিন্তু সকালে উঠে দেখে একি! একটা প্রকাণ্ড বটগাছটা একেবারে হাপিস! শুধু সেখানে হয়ে আছে বিরাট গর্ত। গাছে যে বানর গুলো থাকত তারা পর্যন্ত নেই। সেই দিন সন্ধ্যে বেলা জাহাজ ঘাট থেকে আস্ত একটা জাহাজ উধাও হয়ে গেল। এমনি সব অলৌকিক কাণ্ডকারখানা ঘটছে বিলাশপুর গ্রামে।
বিমলবাবুর বয়স চল্লিশের কাছাকাছি কিন্তু তার মন সব বয়সের মানুষেদের সাথে মেশার জন্য উপযোগি। তাইতে তার কমলের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বিমলবাবু স্বভাবে একজন অনুসন্ধানকারী। বিশেষ করে তার মহাকাশ ভাল লাগে। বিলাশপুরে যা কিছু ঘটছে তা তিনি একেবারেই ভূতুরে ব্যাপার বলে মেনে নিতে রাজি নন। তাই তিনি কমলকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে আর সেখানে গিয়ে দেখা হল বিমল আর কুমারের সাথে। তারা চারজনে অনেক সুলুক সন্ধানের পর তারা নিশ্চিত হলো যে, এই ধরনের কাণ্ডকারখানা ঘটাচ্ছে অন্য গ্রহ থেকে আনা বুদ্ধিমান প্রাণী। এমনই একদিন সন্ধ্যায় তাদের অনুসন্ধানের সময় একটি ঝড়ো হাওয়া তাদের উড়িয়ে নিয়ে গেল সোজা মহাকাশে। তারপর তাদের কি হলো...?
সৌজন্যে: শিশুকিশোর।